চুল পড়া নিয়ে চিন্তা-চুল লম্বা করার উপায়
চুল পড়া নিয়ে চিন্তা এবং চুল লম্বা করার উপায় এগুলো আমাদের ছোট বড় সবার মাথায় ঘুরপাক করে। তাই কিভাবে চুল বন্ধ করা যায়, কি করলে চুল আর ঝরবে না, কি করলে মাথার চুল লম্বা হবে, অল্প দিনে কি করে চুল সিল্কি করা যায়, কি করে যত্ন নিলে মাথার চুল শক্ত মজবুত হবে এসব ব্যাপারে জানার জন্য আমরা কৌতূহলী হয়ে উঠি।
আজ এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কি উপায়ে, কিভাবে কোন শ্যাম্পু, ঘরোয়া উপায়ে কোন পদ্ধতিতে মাথার চুলের যত্ন নিলে আর চুল পড়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না বা চুল লম্বা হওয়ার চিন্তা আর করতে হবে না। চলুন আমরা মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ে আসি।
পোস্ট সুচিপত্রঃ
- চুল পড়া নিয়ে চিন্তা
- চুল পড়ার কারণ
- চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুল লম্বা করতে ১০ টি পুষ্টিকর খাবার
- চুলের যত্নে আমলকী তেলের ব্যবহার
- চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার
- শীতে চুলের যত্নে পাঁচটি স্যাম্পু
- শেষ কথা
চুল পড়া নিয়ে চিন্তা
চুল পড়া নিয়ে চিন্তা ও চুল লম্বা করার উপায় এ দুটি বিষয়কেই আমাদেরকে খুব সচেতন ভাবে নিতে হবে। কেননা একটু এদিক সেদিক হলে চুল সম্পূর্ণ ঝরে যাবে লম্বা হওয়া তো দূরের কথা। আর আমাদেরছেলে-মেয়ে উভয়ের চুল একটি অমূল্য সম্পদ। তাই এটার জন্য আমাদের খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
এখন চুল পড়া নিয়ে চিন্তা এটা না করে আমাদের আগে জানতে হবে চুল কেন পড়ে যায় এবং চুল লম্বা হয় না কেন। আর এগুলো জানতে হলে আমাদের টুকিটাকি বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হবে। চুল পড়ার কারণ জানতে হলে আমাদের প্রধানত জানতে হবে এন্ড্রোজেনিক হরমোন সম্পর্কে। যার কারণে মাথার চুল ঝরে যায়। এই হরমোন হেয়ারফলের ফলিক এর উপর কাজ করে হেয়ার সেল গুলো নষ্ট করে ফেলে।
যা পরবর্তীতে চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে ও চুলগুলো লম্বা হয় না এখন আসল কথা হল আপনার চুল যে কারণেই ঝরে যাক বা যে কারণে লম্বা না হোক সামান্য কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলে দুটো সমস্যা হতেই মুক্তি পেতে পারেন। এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর মত কোন চিন্তা নেই।
চুল পড়ার কারণ
- পুষ্টির ঘাটতিঃশরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে চুল পড়তে থাকে যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, আয়রন প্রভৃতির অভাব যদি আপনার শরীরে থেকে থাকে তাহলে আপনার চুল পড়তে থাকবে।
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ আপনার যদি রাত জাগার স্বভাব থাকে বা ইনসো মনিইয়া যা ঘুমের সমস্যা বলে পরিচিত এসব কারণ থেকে থাকে তাহলে আপনার চুল পড়তে থাকবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ ।
- মানসিক টেনশনঃ আপনি যদি সারাক্ষণ বেশি টেনশন বা কোন কিছু নিয়ে বেশি বেশি চিন্তা করতে থাকেন তাহলে আপনার মাথা গরম হয়ে যায় যা চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ।
- ওজন কমানোর মনোভাবঃ আপনার যদি ওজন বেশি হয়ে থাকে বা তেল চর্বি জমে থাকে আপনার শরীরে। তাহলে আপনার মাথায় আগে চিন্তা আসে কিভাবে আপনার ওজন কমানো যাবে। কিভাবে আপনার পেটের চর্বি কমানো যাবে। আর আপনার এই চিন্তা আপনার মাথার চুল পড়তে সাহায্য করে। কেননা আপনি এ সময় ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার গুলো এভোয়েড করেন বা খুব সামান্য পরিমাণে খান। ফলে আপনার চুলের প্রোটিনের অভাব হয়ে যায় এবং চুল পড়তে শুরু করে।
- ব্যায়াম না করাঃ পর্যাপ্ত ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনি যদি পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করেন বা আপনার লাইফ স্টাইল এলোপাতাড়ি হয় তাহলে আপনার চুল পড়তে শুরু করবে।
- প্রাকৃতিক কারণঃ প্রকৃতির কিছু নিয়ম রয়েছে যা আপনি-আমি না চাইলেও হবে। প্রাকৃতিক কারণে ও আপনার চুল পড়া শুরু হতে পারে এক্ষেত্রে আপনারা আনহেলদি বা অসুস্থ চুল গুলোই পড়ে যাবে।
- নিয়মিত যত্ন না করাঃ আপনি যদি আপনার মাথার চুলের নিয়মিত যত্ন না করেন তাহলেও আপনার চুল পড়া শুরু হবে।
- হরমোন সমস্যাঃ আপনার যদি হরমোনগত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেটাও আপনার চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ। তাই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে সে ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুল লম্বা করতে ১০ টি পুষ্টিকর খাবার
দিন দিন চুল পড়ে যাচ্ছে করণীয় কি, চুল বড় হচ্ছে না উপায় কি এটা সবার প্রশ্ন।এসব সমস্যার সমাধান পেতে হলে আমাদের খাবার তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।চলুন জেনে নি চুল পড়া বন্ধ করতে ও লম্বা করতে কোন খাবার গুলো খেতে হবে। এটা জানতে নিজের দশটি খাবার আমরা ফলো করব।
বাদামঃ চিনা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, ওয়ালনাট এগুলোতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিশেষ করে ওমেগা-6 ফ্যাট। যা চুলের গোড়া সতেজ রাখতে আর চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এই ওমেগা ফ্যাট আমাদের শরীর নিজ থেকে তৈরি করতে পারে না খাবার থেকে নিতে হয়। এটার অভাবে মাথার চুল পড়ে যায়, চুলের রং হালকা হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের নাস্তায় কিছু বাদাম রাখতে পারেন। তবে অনেক খাবেন না তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
হলুদ সবজি ও ফলমূলঃহলুদ ও কমলা রঙের সবজি ও ফলমূল যেমন- মিষ্টি আলু, গাজর, আম, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া এগুলো ভিটামিন এ তে ভরপুর। চুলের ফলিকল অর্থাৎ চুলের গোড়া যেখান থেকে চুলটা বড় হয় সেটা ঠিক মত কাজ করার জন্য দরকার ভিটামিন এ। আর সেটার খুব ভালো উৎস হল এই হলুদ আর কমলা রঙের ফল এবং সবজি। দিনে যতটুকু ভিটামিনের দরকার আধা কাপ গাজরে তার অর্ধেকের বেশি হয়ে যায়। তাই দিনে কিছু হলুদ ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
তৈলাক্ত মাছঃপ্রচলিত একটি ধারণা আছে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটের জন্য সামুদ্রিক মাছই খেতে হবে যেমন-টুনা, স্যামন ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশি মাছ যেমন-ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা এগুলোতেও ওমেগা-৩ ফ্যাট আছে। তবে আপনার যে মাছ সুবিধা হয় সেই মাছই খাবেন। এগুলো আপনার চুল ঘন কালো করতে সাহায্য করবে সাথে প্রোটিনেরও ভালো উৎস।
ডিমঃসুন্দর চুলের জন্য ডিম আপনার খুব ভালো বন্ধু। আমাদের চুল শর্করা বা ফ্যাটের তৈরি নয় চুল প্রায় পুরোটাই প্রোটিনের তৈরি। আর আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে খাবারে প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের অনেকেরই খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন থাকে না । কারণ আমরা সাধারণত ভাতটাই বেশি খাই। তাই সুন্দর চুলের জন্য খাবারের তালিকায় ডিম রাখবেন।
পালং শাকঃচুলের উপকারে পালং শাক একটা চমৎকার খাবার। এতে চারটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যা চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, ফলেট এই সবগুলোই ঘন কালো সুন্দর চুলের জন্য প্রয়োজন।
ডালঃচুল পড়া বন্ধ ও চুল লম্বা হওয়ার জন্য ডাল খুব উপকারী। ডালে প্রোটিন আছে ভালো পরিমাণে আয়রন আছে। আয়রন আমাদের মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। আর অবশ্যই জানি যে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে যায় বা চুল লম্বা হয় না। সুন্দর চুলের জন্য ডালে আরো কিছু বোনাস আছে যেমন-জিংক, ফলেট। খুব পাতলা ডাল না খেয়ে ঘন করে ডাল রান্না করে খেলে এই পুষ্টিগুলো বেশি করে পাবেন।
বিভিন্ন ধরনের বীজঃযেমন চিয়া সিডস, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বীজ এগুলোতে সুন্দর চুলের জন্য অনেকগুলো চমৎকার উপাদান আছে। যেমন চিয়া সিটসে আছে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনলিনেক এসিড এক প্রকারের ওমেগা-৩ ফ্যাট। মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে জিংক, সূর্যমুখীর বিচিতে আসে বায়োটিন তিশার বিজি আছে সেলেনিয়াম। যা চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুল লম্বা করতে বেশ কার্যকর।
ছোলাঃছোলায় চুলের জন্য তিনটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে আয়রন, জিংক এবং প্রোটিন। এই তিনটার যে কোনটার অভাবে চুল পড়তে পারে বা চুল লম্বা না হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই চুল সুন্দর করতে এবং চুল লম্বা করতে মাঝে মাঝে খাবারে ছোলা রাখতে পারেন।
টক দইঃটক দই প্রোটিনের আরেকটা উৎস সাথে চুলের জন্য উপকারী। আরো কিছু উপাদান আছে যেমন জিংক, প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংস একটি ভাল খাবার।
টক ফলঃবাজারে কিছু টক ফল পাওয়া যায় যেমন-কমলা, মালটা, লেবু, কিউয়ি ফল এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুল লম্বা করতে ভিটামিন সি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি এর অভাবে চুল বেঁকিয়ে পেঁচিয়ে যায়। আবার ভিটামিন সি এর অভাব হলে শরীর আয়রন শোষণ করতে পারে না। ফলে চুল পড়ে যায়। আমাদের শরীর নিজে থেকে ভিটামিন সি বানাতে পারে না।
তবে টক জাতীয় ফল খেলে সহজে সেখান থেকে নিয়ে যেতে পারে। যেমন একটা কমলা থেকেই দিনের প্রায় ৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। যারা টক জাতীয় ফল খেতে পারেন না তাদের জন্য টমেটো, পেয়ারা এগুলো ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হতে পারে। উপরোক্ত এই খাবারগুলো চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করবে যার ফলে আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল ঘন কালো লম্বা সুন্দর হয়ে যাবে।
চুলের যত্নে আমলকী তেলের ব্যবহার
প্রচণ্ড পরিমাণে চুল পড়ছে ,চুল মাঝখান থেকে ভেঙ্গে যাচ্ছে, রুক্ষ, শুষ্ক,পাতলা হয়ে জাচ্ছে,চুল লম্বা হচ্ছে না এই সব কিছুর সমাধান হবে একটা হেয়ার অয়েল দিয়ে। তবে মনের মত চুল পেতে আমাদের মাথার ত্বক ভালো রাখতে হবে।আর এই ত্বক ভালো রাখার কাজটি সহজ করতে আমাদের এই আলোচনা।
চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে আপনি ঘরোয়া উপায়ে আমলকিরএ তেল তৈরি করে নিতে পারেন।সে ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটে আমলকি কুড়ে নিয়ে আপনি যে তেলটা ব্যবহার করেন তার সাথে মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জ্বাল করে ছাকনি দিয়ে ছেকে তেল আলাদা করে কাচের কৌটাতে রেখে দিতে পারেন। এই তেল আপনার চুল ঘন কালো লম্বা করতে বেশ কার্যকরী হবে।
আর শরীর ও চুল ভেতর থেকে শক্তিশালী মজবুত করতে হলে প্রতিদিন আপনি আমলকির জুস খেতে পারেন।সকালে খালি পেটে আমলকির জুস খেলে আপনার বদহজম দূর হবে এবং আপনার ত্বক সুস্থ, শক্তিশালী হবে।ফলে আপনার মাথার চুল ভেতর থেকে পুষ্টি পাবে। যা চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলকে লম্বা ঘন কালো সিল্কি করতে সহায়তা করবে।
চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার
চুলের যত্নে মেথি ভীষণ উপকারী।মেথি আপনার চুলকে লম্বা ঘন কালো সিল্কি ঝলমলে করতে বেশ উপকারী।এক্ষেত্রে আপনি ২ টেবিল চামচ মেথি নিয়ে দুই কাপ পানি দিয়ে ২৪ ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন।২৪ ঘন্টা হয়ে গেলে ভিজিয়ে রাখা পানিটা ছাকনি দিয়ে ছেকে পানি আলাদা করে নিন। তারপরে সেই পানি আপনি আপনার মাথায় সমস্ত চুলে এপ্লাই করে নিন।
শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।চুল শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর দেখুন আপনার চুল কতটা সফট কালো এবং ছিলকি হয়ে গেছে। এভাবে আপনি যদি সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার চুল লম্বা এবং মাথার খুশকি দূর হয়ে গেছে এবং সাথে সাথে মাথার চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
শীতে চুলের যত্নে পাঁচটি স্যাম্পু
শীতকালে আমাদের ত্বক চুল সবই রুক্ষ হয়ে যায়।তাই এই সময় একটু বেশি কেয়ার করতে হয়।এখানে আমরা চুলের জন্য ভীষন উপকারী কিছু স্যাম্পুর নাম জানবো।
- Head & shoulder shampoo
- Amla shikakai shampoo
- Smooth& straight shampoo
- Intense mousture shampoo
- Apple vinegar shampoo
শেষ কথা
সুন্দর চুল কে না পছন্দ করে। আর চুল সুন্দর করতে আমরা কত কি না করি।তবে জেতাই করি না কান সঠিক ভাবে জেনে তারপর করতে হবে। শুধু বাহ্যিক যত্ন করলেই হবে না।ভেতর থেকে যাতে শক্তিশালী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুল লম্বা করার জন্য আমার কাছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া টাকে বেশি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়।
আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।আর এ ধরনের উপকারি পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url